পুরো পৃথিবীতে ৩৫০ জাতের মধু রয়েছে । ফুল অনুসারে উৎপাদিত মধু তার নিজস্ব স্বাদ ও বৈশিষ্ট্য বহণ করে । বাংলাদেশে ২ ভাবে মধু উৎপাদিত হয় ।
১,চাষের মধু
২,চাকের মধু
চাষের মধুঃ ফুলের সিজনে ফুলের ক্ষেত/খামারে মৌমাছির বক্স বসিয়ে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষ করা মধু । মিশরীয় সভ্যতা থেকে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষ করা হচ্ছে, বাংলাদেশে ১৯৮০ দশকে মধুর চাষ শুরু হয়েছে ।যেহেতু একটি নির্দিষ্ট ফুলের সিজনে নির্দিষ্ট ফুল বাগানে/ক্ষেতে মৌমাছির বক্স বসানো হয় সেহেতু মধু উৎপাদনে সেই ফুলের একক বৈশিষ্ট্য বেশি বিদ্যামান। কারণ সেই ফুলের নির্যাস থাকে ৭০% এর বেশি । সুতরাং ১০০ গ্রাম মধুতে ৭০% একটি নির্দিষ্ট ফুলের নির্যাস থাকলে সেই ফুলের স্বাদ বৈশিষ্ট্য বেশি থাকবে স্বাভাবিক । সুতরাং ফুলের কাচা ঘ্রান স্বাদ জানা থাকলে চাষের মধু খাটি চিনতে অসুবিধে হয় না ।
চাকের মধুঃ ফুলের সিজনে বন্য বা ভ্রাম্যমান মৌমাছি নিজস্ব ইচ্ছামত বিভিন্ন ফুলের নির্জাস সংগ্রহ করে মধু উৎপাদন করে থাকে , এই মধু বিভিন্ন ফুলের মিশ্রনে মিশ্রিত স্বাদ ও বৈশিষ্ট্য বহন করে। সাধারনে বাড়ির আংগিনায় , গাছের ঢালে , বন-জঙ্গলে এই মধু উৎপাদন হয় ।বিভিন্ন ফুলের নির্যাসের মিশ্রন থাকে বিধায় এই মধুতে মিশ্রিত স্বাদ-ঘ্রান পাওয়া যায়।
সুতরাং ভিডিওতে বলা স্বাদ বৈশিষ্ট্য জানার পর মধুর সাথে মিলিয়ে নিলে খাটি মধু চিনতে অসুবিধে হয় না ।